মাতৃভূমির খবর ● ঢাকা ● ১ আগস্ট ২০২৫

রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। প্রাথমিক তদন্তে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে বলেও জানায় সংস্থাটি।

শুক্রবার (১ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে সম্প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আসে। বিষয়টি সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নেয়।

আইএসপিআর আরও জানায়, প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তদন্ত শেষে সেনাবাহিনীর প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় করে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

উল্লেখ্য, অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তার কর্মস্থল থেকে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে আরেকটি পৃথক তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে। উক্ত তদন্ত শেষে আদালতের সুপারিশ এবং সেনা আইনের বিধান অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছে আইএসপিআর।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকালে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস ‘এ’-তে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সেনা সদরের মিলিটারি অপারেশনস পরিদফতরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা জানান, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে মেজর সাদিক নামে একজন সেনা কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় বলা হয়েছে, গত ৮ জুলাই বসুন্ধরাসংলগ্ন কেবি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের উদ্যোগে একটি গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা ওই বৈঠকে আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ এবং অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীসহ প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ জন অংশ নেন।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, বৈঠকে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয় এবং পরিকল্পনা করা হয় যে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পাওয়ার পর দেশব্যাপী লোকজন ঢাকায় সমবেত হবেন। তারা শাহবাগ মোড় দখল করে রাজধানীজুড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি এবং জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করবেন।